বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজে যুবদলের ক্যাডার রফিক ও মহিউদ্দীনের অতর্কিত হামলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক •

প্রতিবছরের ন্যায় এই বছর ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন উপলক্ষ্যে গত ২৬ই অক্টোবর, সোমবার একটি জরুরী সভার আয়োজন করেছিলো বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটি। রাত সাড়ে ৮ টায় উক্ত সভা শুরু হয়। এতে বৃহত্তর টেকপাড়ার বিভিন্ন পেশার গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন ।

কিন্তু পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা জেলা যুবদলের ক্যাডার রফিক তার ভাই মহিউদ্দীন, সাহাবউদ্দীন , নাছির উদ্দীন, রিফাত, বাচ্চু সহ আরো ১০-১২ সন্ত্রাসী সভা চলাকালীন এক পর্যায়ে নাশকতা সৃষ্টি করে। তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সমাজের সভাপতি গোলাম মওলা বাবুল এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম কেলু সহ পরিষদের সকলকে অকথ্য বাসায় গালিগালাজ করতে থাকে। সভায় উপস্থিত এলাকার সর্ব মহল তাদের এই ঘৃনিত কাজে বাধাঁ দিলে তারা আরো উশৃখ্ঙল হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা সমাজ ভাংচুর শুরু করে দেয়।

তাদের অতর্কিত হামলার কবলে পড়ে আহত হয় এলাকার অনেক সাধারণ জনগণ। তাছাড়াও তারা বিগত জাতীয় নির্বাচনের জের ধরে স্হানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

উক্ত হামলায় আহতরা হলেন ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফুল করিম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা জুনাইদুল হক আরিফ , ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল রানা, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আব্দুল্লাহ সহ আরো অনেকেই।

অনুসন্ধানে ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে , বিগত ১-২ মাস থেকে তারা এই হামলার নীল নকশা তৈরি করে আসছিলো। এর আগেও তারা এলাকায় ও শহরে বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টি করেছিলো । বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা নূর হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ডও ছিলো এই মহিউদ্দীন আর রফিক। বিগত জাতীয় নির্বাচনে এলাকায় গুজব ছড়ানো ও অবৈধ লেনদেন করার সময় ধরা খেয়ে গণধোলাই খেয়ে জেলও খেটেছে এই রফিক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সভা শুরু হওয়ার আগে তারা বেশ কিছু অস্ত্র সমাজ ঘরের পাশে আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রেখেছিলো তারা। তাছাড়াও হামলা করার জন্যে বেশ কিছু বহিরাগত গুন্ডাও ভাড়া করে এনেছিলো ।

এ বিষয়ে উক্ত সমাজের সভাপতি গোলাম মওলা বাবুল জানান, তাদের অবৈধ কাজে সমাজ বাধাঁ দেওয়ায় তারা সমাজে যেকোনো সময় নাশকতা করার জন্যে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে আসছিলো। উল্লেখিত সন্ত্রাসী রফিক ও মহিউদ্দীন নারী কেলেংকারী সহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে জড়িত বলে জানান তিনি। তাছাড়াও প্রশাসনের কাছে ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। শিগগিরই এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।